একাধিক নারীকে ধর্ষণের পর উলটো মামলা
মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম
মিঠাপুকুরের ইমাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী জুয়েল মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ থেকে বাঁচতে এক নারীকে দিয়ে উলটো ভুক্তভোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন তিনি।
জুয়েল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট এলাকার মতি মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন জুয়েল মিয়া। এ ঘটনায় রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। এর আগে জুয়েল পীরগঞ্জে আরেক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে তিন মাস কারাগারেও ছিলেন। ওই সময় মামলা থেকে বাঁচতে এক নারীকে দিয়ে উলটো ভুক্তভোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার নাটক সাজান তিনি। ওই মামলায় সাত মাস কারাগারে ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের দুই সদস্য।
ওই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বাদী বলেন, জুয়েল ও তার পরিবার আমাকে তুলে নিয়ে একটি মন্দিরে আটকে রাখে। পরে তাদের কথামতো আমি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। এ সময় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ধর্ষণ মামলা করায় জুয়েলের বাবা স্কুল শিক্ষক মতি মিয়া। পরে দুপক্ষ আপোষ হলে আমাকে একটা টাকাও দেয়নি তারা।
ওই ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামি বলেন, আমার ভাগিনিকে ধর্ষণের সময় জুয়েল মিয়াকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। পরে এক নারীকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করে তারা। ওই মামলায় আমরা ৭ মাস জেল খেটেছি।
অভিযুক্ত জুয়েল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিককে গালাগাল করেন।
জুয়েলের বাবা মতি মিয়া বলেন, ওই নারীর (ষড়যন্ত্রমূলক মামলার বাদী) সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, সেটি করে আমাদের কাজ হয়েছে, টাকাও নিয়েছে। সে আমার কিছুই করতে পারবে না।
মিঠাপুকুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন।