চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন আদালত।
রোববার নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাঈদের আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশের শুনানি শেষে মাহিয়া মাহি নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন।
মাহি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগেই আমি ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি, দোয়া চেয়েছি। এটিও একটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে। আমি এর জন্য আদালতকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেছি। তারা আমাকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন যে, পরবর্তী সময়ে যাতে এ রকম না হয়। আমি এটা মেনে চলব।
মাহি আরও বলেন, উনারা (নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি) আসলে সবার জন্যই সমান। এই আসনের বর্তমান যিনি এমপি, তাকেও শোকজ করা হয়েছিল।
কোন প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, ‘পছন্দের প্রতীক এখনো বলতে চাই না। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ হবে। কালই ঠিক হবে আমি কোন প্রতীকটা পাচ্ছি। এর পরেই প্রচার-প্রচারণা। প্রচারণা তো সেই রকমভাবেই করতে হবে। বড় বড় দুটি উপজেলা। মাঠপর্যায়ে আমার অবস্থান খুব ভালো। আপনারা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।’
ভোটের মাঠে এসে কোনো বাধা পাওয়া যাচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে ঢাকাই সিনেমার এ নায়িকা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাকে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়নি। সরে যাওয়ার কথাও বলা হয়নি।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, বিষয়টি আসলে তখন বোঝা যাবে। সরাসরি এখনো কোনো হুমকি আসেনি। প্রচারণার মাঠে গিয়ে আসলে কতটুকু প্রবলেম ফেস করি, সেটি আপনাদের সবাইকে (সাংবাদিকদের) জানাব এবং সহযোগিতা চাইব। যদি দেখি যে আমার কর্মীরা রিস্ক ফিল করছে, তা হলে অবশ্যই আপনারা সাপোর্ট করবেন এবং সেটি দেশবাসীকে জানাবেন।
শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে মাহি বলেন, নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যদি বেঁচে থাকি, শেষ পর্যন্ত লড়ব।’
এর আগে শোকজ নোটিশের জবাব দিতে বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে আসেন মাহিয়া মাহি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি চলে। শুনানিতে আদালত মাহির বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। তবে তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।