আ. লীগ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল, একে আজাদের নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস
ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৭ পিএম
নির্বাচন কমিশন কাগজপত্র পর্যালোচনা করে অবশেষে ফরিদপুর-৩ সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের (একে আজাদ) প্রার্থিতা বহাল রেখেছে।
৮ ডিসেম্বর শামীম হকের বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন একে আজাদ। এর পরদিন শামীম হক বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক অভিযোগ এনে একে আজাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। পালটাপালটি অভিযোগের পর শুক্রবার নির্বাচন কমিশন একে আজাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। অন্যদিকে দ্বৈত নাগরিক প্রশ্নে শামীম হকের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয়।
শুক্রবার একে আজাদের প্রার্থিতা বহাল থাকার খবরে তার সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়তে দেখা গেছে। এদিকে প্রার্থিতা বাতিলের খবরে শামীম হকের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা গেছে।
শামীম হক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ফরিদপুর-৩ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য একে আজাদ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিলের খবর ছড়িয়ে পড়লে ফরিদপুরে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকানে মানুষকে জটলা করে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে দেখা গেছে। এ সময় শামীম হকের নেতাকর্মীদের অনেকটা হতাশ থাকতে দেখা যায়।
এদিকে, শুক্রবার দুপুরে শহরের ঝিলটুলী মহল্লার একে আজাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, উঠানে লোকে লোকারণ্য। হাস্যজ্জল নেতাকর্মীরা একে আজাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন। কেউ করমর্দন, কেউ কোলাকুলি করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। উল্লসিত সমর্থকদের চাপ বাড়তে থাকায় একপর্যায়ে বাড়িতে প্রবেশের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সমর্থকদের দাবির মুখে একে আজাদ বলেন, এ ঘটনায় আমাদের একটি বিজয় হলেও চূড়ান্ত বিজয় আসেনি। আইনে আরও দুটি ধাপ রয়েছে। হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টেও বিষয়টি যেতে পারে। তিনি সবাইকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো মিছিল বা উল্লাস করা যাবে না।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী আশরাফ বলেন, শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হবে।