বগুড়া-২
নৌকার প্রার্থী মানিকের বাড়িঘর নেই!
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০০ পিএম
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিকের নিজস্ব ঘরবাড়ি নেই। তিন বছরে তার অর্থ সম্পদ বেড়েছে মাত্র দুই লাখ টাকার। নির্বাচনি ব্যয় বহনের সক্ষমতা না থাকায় তিনি আত্মীয়-স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা ধার চেয়েছেন। বর্তমানে তার অর্থ-সম্পদের পরিমাণ আট লাখ ৫০ হাজার ছয় টাকা।
বগুড়ার শিবগঞ্জের বানাইল এলাকার মৃত তাইবুর রহমান সরকারের ছেলে তৌহিদুর রহমান মানিক উচ্চ মাধ্যমিক পাশ। পেশায় সাংবাদিক। এলাকায় খুব জনপ্রিয়। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতিনকে পরাজিত করে আবারো মেয়র নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনের আগে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর দাখিল করা হলফনামায় কৃষিখাতে বার্ষিক আয় দেখান ৯০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৬০ হাজার টাকা, মেয়রের সম্মানি ভাতা দুই লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
নিজের নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্ত্রী ৩০ হাজার টাকা। তার ব্যাংকে ছিল এক লাখ টাকা ও আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা মূল্যের। ২০ শতক কৃষি জমি আছে (মূল্য উল্লেখ নেই)। সব মিলিয়ে মানিকের অর্থ-সম্পদের পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর নগদ ছিল ৩০ হাজার টাকা।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা জাপার সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এ আসনের সংসদ-সদস্য। এবারের নির্বাচনে শরিক দলকে ছাড় না দেওয়ায় শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিককে নৌকার মাঝি করা হয়েছে।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি দাখিল করা হলফনামায় তার বাড়িঘর উল্লেখ নেই। কৃষি খাতে আয় বছরে আগের মতো ৯০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। ব্যবসায় আয় আগে ৬০ হাজার থাকলেও এখন বেড়ে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা হয়েছে। নিজের নগদ ৫০ হাজারের স্থলে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়েছে।
স্ত্রীর নগদ ৩০ হাজার টাকা বেড়ে ৫০ লাখ ৮৮ হাজার ৯২৫ টাকা হয়েছে।
মানিকের ব্যাংক জমা রয়েছে এক লাখ টাকা। আসবাবপত্র ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর ১২ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার আছে।
পৈতৃকসূত্রে পাওয়া কৃষি জমি ২০ শতক উল্লেখ থাকলেও তার মূল্য উল্লেখ করা হয়নি। বর্তমানে মানিকের সম্পদ আছে আট লাখ ৫০ হাজার ছয় টাকার। গত তিন বছরে তার অর্থ-সম্পদ বেড়েছে, দুই লাখ ১২ হাজার ছয় টাকার।
জানতে চাইলে তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, নির্বাচনে ব্যয় করার মতো অর্থ আমার নেই। তাই আত্মীয়-স্বজনের কাছে ১৫ লাখ টাকা ধার চেয়েছি। নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে সবার দোয়া চাই।