চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্থায়ী আমানত ১৬ গুণ বেড়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে এ খাতে তার ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বেড়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এমন সব তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৮ সালে চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রথমবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচ বছরে তার আমানতসহ বার্ষিক আয় ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে। একই সঙ্গে তার স্ত্রীরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে। আগে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৫৯ লাখ টাকার। বর্তমানে ৮ হাজার ইউএস ডলারসহ তার প্রায় ৭৫ লাখ টাকার রয়েছে। আগে কোনো স্থাবর সম্পত্তি না থাকলেও এখন ৩৫ লাখ টাকার সম্পত্তি আছে। আগে মহিবুলের মোট অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১ কোটি ৬১ লাখ টাকার। এর মধ্যে নগদ ছিল ৩০ লাখ টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৭৭ লাখ টাকা। স্বর্ণ ও আসবাব সামগ্রী ছিল ৯ লাখ টাকার। বন্ড বা শেয়ারে বিনিয়োগ ছিল ৮ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। আর সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত হিসাবে ছিল ৩৭ লাখ টাকা। এবার ৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে আছে ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। আর নগদ আছে সাড়ে ৩২ লাখ টাকা। বন্ড বা শেয়ারে আছে ১০ লাখ টাকা। অন্যসব (বিনিয়োগ) খাতে ৪২ লাখ ২৪ হাজার টাকা। চার লাখ টাকা দামের কৃষি জমি এবং এক কোটি টাকার ভবন আছে। আর স্বর্ণ ও আসবাব সামগ্রী আগের মতোই ৯ লাখ টাকার। আগে তার সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা ছিল ৩৭ লাখ টাকা। এখন এ খাতে তার রয়েছে ৬ কোটি ২ লাখ টাকা। পাঁচ বছরে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বেড়েছে, যা প্রায় ১৬ গুণ।
পাঁচ বছরের ব্যবধানে মহিবুল চৌধুরীর বার্ষিক আয় ৩০ লাখ টাকা বেড়েছে। আগে ছিল ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে আয় ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। পেশা থেকে আয় ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা। চাকরিসহ অন্য সব খাতে আয় ২৭ লাখ টাকা। তার আয় ও সম্পত্তির পাশাপাশি ঋণও বেড়েছে। প্রথমবার নির্বাচন করার সময় তার ঋণ ছিল ৩২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। এখন বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকে ঋণ ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।