কুয়াশায় ৩ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪০ এএম
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এবং ধাওয়াপাড়া নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়েছে গেছে। ছোট-বড় যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকে পড়েছে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি। এতে তীব্র শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই নৌপথে চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ধ্যা রাত থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এবং ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত ১০টার পর থেকে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকে। শনিবার রাত ১২টার দিকে কুয়াশার মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করলে চ্যানেলের বিকন বাতি ও মার্কিং পয়েন্টে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে এ তিনটি নৌরুটে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
এতে উভয় ঘাট এলাকায় যানবাহন আটকে পড়তে শুরু করে। এতে তিনটি নৌরুটে প্রায় ৩ শতাধিক যানবাহন আটকে রয়েছে। তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যে মাঝ নদীতে নোঙর করে আছে আরও পাঁচটি ফেরি। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহনের শ্রমিক, যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
ঘাটে আটকেপড়া ট্রাকচালক মো. শহিদ জানান, রাত ২টার সময় ঢাকা থেকে পাটুরিয়াঘাটে এসেছি। এখনো তিন নম্বর ঘাটে অপেক্ষা করছি। কুয়াশার কারণে কুয়াশা কারণে নদী পার হতে পারিনি। তীব্র শীতের মধ্যে ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছি।
দূরপাল্লা বাসের চালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। আমার গাড়িতে অনেক নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রী রয়েছে। তীব্র শীতে তারা অনেক কষ্ট করছে। এখানে খাওয়া-দাওয়াসহ অনেক সমস্যা রয়েছে।
বাসযাত্রী মো. আব্দুল খালেক জানান, রাত ২টার সময় ফেরিঘাট এসেছি। ফ্যামিলিকে নিয়ে এসে এখানে খুব দুর্ভোগের মধ্যে আছি। আমরা বরিশালে যাব। কুয়াশা ও তীব্র শীতে খুব কষ্ট করছি ঘাট এলাকায়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, এই নৌরুটগুলোতে ২৭টি ফেরি চলাচল করে। কুয়াশার মাত্রা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।