Logo
Logo
×

সারাদেশ

আ.লীগের দুগ্রুপের দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম

আ.লীগের দুগ্রুপের দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি

গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান তুষার। ছবি: যুগান্তর

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। এরই জেরে কামরুল হাসান তুষার নামে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদককে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

আরও পড়ুন: গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৫ মিনিটে কী কথা হয়েছিল, জানালেন শাহজাহান ওমর

তবে গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার বাম পায়ের হাটুর নিচের অংশ লাগায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।  ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা আয়নাল হকের ছেলে বলে জানা গেছে।  এদিকে তুষারকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

জানা গেছে, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান তুষার ও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আরাফাত এবং রাব্বী মিলে খিচুড়ির আয়োজন করেন। এ সময় রাব্বী বাইরে থেকে পানি আনতে গেলে কার্যালয়ের কিছু অদূরে দেখতে পায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সোহেলের নেতৃত্বে ৩টি মোটরসাইকেলযোগে ৯ জন ব্যক্তি কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছেন।

রাব্বী জানান, সোহেল মেম্বার ও মাসুদ একপর্যায়ে পিস্তল বের করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে গিয়ে কার্যালয়ে থাকা তুষার ও আরাফাতকে বিষয়টি বলার সঙ্গে সঙ্গে তারা দৌড়ে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনসংলগ্ন মেহগিনির বাগানে আশ্রয় নেন। তাতেও রক্ষা পাননি তুষার। 

এ সময় তুষারকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশে পেছন দিক থেকে পিস্তল দিয়ে ৭-৮ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এ সময় গুলিগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে একটি গুলি তুষারের বাম পায়ের গোড়ালিতে লাগে। পরে আহতাবস্থায় তুষার তার নানা শশুর আব্দুল করিমের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। 

তুষার মোবাইল ফোনে জানান, ‘মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া কেন্দ্র করে সোহেল মেম্বারের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে সম্প্রতি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ারকে রাতের আঁধারে কোপানো হয়েছিল। আমিসহ স্থানীয় আরও অনেকেই এ ঘটনায় প্রতিবাদ করেছি। এ নিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এরই জেরে সোহেল ও তার ভাই সাইফুল ও মাসুদের হাতে থাকা পিস্তুল দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশে গুলি চালায়। কিন্তু আমি প্রাণে বেঁচে যাই। 
তবে আমার জীবন নিয়ে আমি শঙ্কায় রয়েছি। যে কোনো সময় আমাকে হত্যা করা হতে পারে।’ 

এদিকে স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় বাঁধাসহ স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সোহেল মেম্বারগ্রুপ ও দেলোয়ারগ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আহত তুষার দেলোয়ারের সমর্থক। 

তারা আরও জানান, চলমান এই দ্বন্দ্বের জেরে চলতি বছরের ২ অক্টোবর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন রাতে বালিয়াপাড়া বাজার থেকে রিকশায় করে তার নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির কিছু অদূরে মুখোশধারী ৪-৫ জন দুবৃর্ত্তরা হত্যার উদ্দেশে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। ওই সময় দেলোয়ারকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। 

পরে এ ঘটনায় তার এক ভাই বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য সোহেলকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করেন। 
আড়াইহাজার থানার ওসি আহসান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম