Logo
Logo
×

সারাদেশ

কাঁচামাল সংকট 

যশোরে ১০ দিন বন্ধ স্যালাইন উৎপাদন

Icon

যশোর ব্যুরো

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৫ পিএম

যশোরে ১০ দিন বন্ধ স্যালাইন উৎপাদন

যশোরে কাঁচামাল সংকটে ১০ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিনামূল্যে দেওয়া খাবার স্যালাইনের (ওরাল রিহাইড্রেশন সল্ট বা ওআরএস) উৎপাদন। সারা দেশে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ৫টি ইউনিটের মধ্যে একটি রয়েছে যশোরে। উৎপাদন বন্ধ থাকায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পাশাপাশি ফরিদপুর ও রাজবাড়িতে খাবার স্যালাইন সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, এক মাসের স্যালাইন মজুদ রয়েছে। আর উৎপাদন চালু করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শীত এলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ায়, চাহিদা বাড়ে খাবার স্যালাইনের। তীব্র ডায়রিয়াজনিত কারণে শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করতে খাওয়ার স্যালাইন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এজন্য সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে খাওয়ার স্যালাইন সরবরাহ করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। কিন্তু কাঁচা মালের সংকটের কারণে ২৯ নভেম্বর থেকে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ওআরএস স্যালাইনের কাঁচামাল গ্লুকোজ, সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও ট্রাইসোডিয়াম সংকটের কারণে যশোরের কারখানায় বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন। ফলে এ অঞ্চলে খাওয়ার স্যালাইন সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও সরবরাহ প্রতিষ্ঠান যশোরের স্টোরকিপার মো. আওরঙ্গজেব জানান, স্যালাইন তৈরিতে যে চারটি কাঁচামাল দরকার তার মধ্যে গ্লুকোজের স্টক একেবারেই শূন্য। এর বাইরে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাসিয়াম ক্লোরাইড ও ট্রাইসোডিয়াম আছে ৫০ বস্তার মতো। এ কারণে উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।

প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ডা. রেওনেওয়াজ রনি বলেন, ২৯ নভেম্বর থেকে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমাদের কাছে প্রায় ৫ লাখ ব্যাগ স্যালাইন মজুত রয়েছে, যা দিয়ে একমাস চালানো যাবে। যদি এরমধ্যে কাঁচামাল সরবরাহ না পাওয়া যায়, তাহলে সংকট দেখা দিতে পারে। তবে জানতে পেরেছি সরকার শিগগিরই বিদেশ থেকে কাঁচামাল আনছে। আশা করছি স্বাস্থ্য সেবায় এর প্রভাব পড়বে না।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের কাছে বর্তমানে পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত রয়েছে। কিন্তু একমাসের মধ্যে চালু না হলে স্যালাইন সংকট দেখা দিতে পারে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা দ্রুত কাঁচামালের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত কাঁচামাল আসবে। এলেই আবার উৎপাদন শুরু হবে। এ কারখানা থেকে যশোরসহ খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলায় খাওয়ার স্যালাইন সরবরাহ করা হয়। এ কারখানায় প্রতিদিন ১৫ হাজার প্যাকেট স্যালাইন উৎপাদন হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম