বগুড়ার দুপচাঁচিয়া পৌরসভার মেয়র ও সাবেক বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির মালামাল ক্রোক করা হয়েছে। মেয়রের সিও অফিস রোডের বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ক্রোক করা হয়।
জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্টের ভুয়া আদেশ সৃষ্টির পর তা দাখিল করে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার মামলায় দুদক কর্মকর্তা তদন্ত শেষে মেয়রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ একেএম মোজাম্মেল হক চৌধুরী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করেন।
অভিযুক্ত তিনজন হলেন- দুপচাঁচিয়া সিও অফিস রোডের আফতাব হোসেনের ছেলে পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পৌরসভার সচিব বগুড়া শহরের উত্তর জয়পুরপাড়ার রতন চন্দ্র দাসের ছেলে কার্তিক চন্দ্র দাস এবং দুপচাঁচিয়ার ধাপ সুখানগাড়ির সোলাইমান আলীর ছেলে শিক্ষানবিশ আইনজীবী আবদুল মজিদ।
অভিযোগে জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও অন্যদের বিরুদ্ধে বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে মামলা বিচারাধীন ছিল। আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে হাইকোর্টের ফৌজদারি মিস কেসের ভুয়া আদেশ সৃষ্টি করেন। এরপর সে আদেশ বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করে মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করান।
হাইকোর্টের রিট পিটিশন মামলার ২০২২ সালের ১৬ মার্চের রায়ের আলোকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার আদেশ দেন। ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে হাইকোর্টের রিট শাখার সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল মোমেন বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক বগুড়া কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।
পরে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুদক বগুড়া কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, আদালতের আদেশে ২-৩ দিন আগে মেয়রের সিও অফিস রোডের বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ক্রোক করা হয়েছে। মেয়র ছয়বার সাময়িক বরখাস্ত হলেও আপিল করে রেহাই পেয়েছেন।