পটিয়ায় মাদ্রাসায় আবারো উত্তেজনা, সমাধান না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪২ পিএম
মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া।
চট্টগ্রামের পটিয়া জামেয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজার জোরপূর্বক আদায় করা পদত্যাগ ও তাকে পুনর্বহাল নিয়ে আবারো দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পটিয়া উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন সেখানে অবস্থান নেন। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে শেষপর্যন্ত বড় ধরনের কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি।
জানা গেছে, পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুপক্ষ প্রায় দেড় মাস ধরে মারমুখী অবস্থান নিয়েছে। মাদ্রাসার মহাপরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজার পদত্যাগের পক্ষে একটি পক্ষ ও তাকে পুর্নবহালের পক্ষে আরেকটি পক্ষ স্ব স্ব অবস্থানে অনড় থাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভেতরে ও বাইরে থেকে থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সবশেষ মঙ্গলবার উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঘটনার পরপরই সেখানে অবস্থান নেয় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে ১৪ নভেম্বর দুইপক্ষ মুখোমুখি হয়। মাদ্রাসার ভেতরে মহাপরিচালকের বিপক্ষের আর পটিয়া মাঠে মহাপরিচালকের পক্ষের লোকজন গণ অবস্থান নেয় হাজারও শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এ পরিস্থিতিতে দুটি পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘাত সংঘর্ষের আশঙ্কায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দুপক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের ডাকবাংলো এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের নেতৃত্বে একটি সাজোয়া যান অবস্থান নেয়।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পটিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দীন জানান, মহাপরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজাকে বের করে দেওয়ার পর মাদ্রাসা পরিচালনায় ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির সদস্য শায়খুল হাদিস আহমদুল্লাহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের কাছে একটি লিখিত দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে- আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহাপরিচালকের বিষয়টি আপস করা হবে। এর মধ্যে আপসে ব্যর্থ হলে পরদিন থেকে মাদ্রাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে।