খরস্রোতা তিস্তা এখন পানিশূন্য ধু-ধু বালুচর

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮ পিএম

শুকনো মৌসুম আসতে এখনো অনেক বাকি কিন্তু তার আগেই খরস্রোতা তিস্তা নদী এখন পানি শূন্য হয়ে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়েছে। যে তিস্তা নদীকে নিয়ে গাথা হয়েছিলে নানা ধরনের ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া গান, বাড়িতে নতুন জামাই এলে বা নতুন মেহমান এলে যে নদীর বইরাতি/বৈরালী মাছ ছিল খাবারের উপকরণ আজ সেই নদীর বুক চিরে চলছে চাষাবাদ। আর নদীনির্ভর শত শত জেলে পরিবার নদীতে মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করত তারা আজ বেকার।
ভারতের গজল ডোবায় তিস্তা নদীর উজানে বাঁধ নির্মাণ করায় এবং পানির ন্যায্য হিস্যা না দেওয়ায় ধীরে ধীরে তিস্তা নদী পানি শূন্য হয়ে কঙ্কালে পরিণত হয়েছে। তিস্তা তীরবর্তী মানুষের নিদারুণ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বর্ষার সময় ভারত অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় নদীর দুপারের মানুষের জমি, ঘরবাড়ি ভেঙে সর্বস্বান্ত করে দেয়। খরা মৌসুমে পানির অভাবে ইরি-বোরোসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ করতে পারে না তারা। একসময় সরাসরি নৌকা মাল বোঝাই করে পাল তুলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেত, বর্তমানে সেগুলো এখন কল্পকাহিনির মতো। নৌ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, নদীতে পানি এখন কমে গেছে। পানি কম থাকায় গেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে পানি শূন্য তিস্তা নদী।