চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার নাটুদহ ইউনিয়নের চারুলিয়া গ্রামের বৃদ্ধা রহিমা বেগমের (৭২) ছেলে জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ নাশকতার মামলায় কারাবন্দি। ছেলেকে শেষবারের মতো একবার দেখার আকুতি ছিল তার। কিন্তু তার সে ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নিজ বাড়িইে মারা যান। মাকে শেষ বিদায় জানাতে রউফ বাড়ি ফিরলেন ঠিকই। শুক্রবার মাত্র ৩ ঘণ্টার জন্য তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়ে তাকে শেষ বিদায় জানান।

প্রতিবেশীরা জানান, মায়ের অত্যন্ত আদরের সন্তান ছিলেন রউফ। মাকে রেখে রউফ কোথাও রাত কাটাতেন না। অথচ পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলায় সেই ছেলে মায়ের চোখের আড়াল প্রায় ১ মাস। এ কারণে সারাক্ষণ বৃদ্ধা মায়ের চোখের কোণে পানি জমে থাকত। ছেলেকে শেষবারের মতো তার একবার দেখার আকুতি ছিল। কিন্তু তা অপূর্ণই থাকল। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানাজা শেষে রহিমা বেগমকে দাফন করা হয় স্থানীয় কবরস্থানে। রউফ ১১টার দিকে বাড়িতে পৌঁছালে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানের কান্না আর আকুতিতে কেঁদেছেন অন্যরাও।

পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, রউফের মা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন এবং শরীরটাও তার ভালো যাচ্ছিল না। ছেলে কারাগারে থাকায় সব সময় চিন্তা করতেন। মৃত্যুর আগে এক নজর ছেলের মুখটা দেখার আকুতি ছিল তার। কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।

শুক্রবার মাকে শেষবারের মতো দেখতে ৩ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পান জামায়াত নেতা আব্দুর রউফ। মুক্তির পর মায়ের দাফন শেষে আবার তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর কবির বলেন, মায়ের মৃত্যুর কারণে রউফকে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর সঙ্গে থাকা জেলা পুলিশ তাকে আবার কারাগারে পাঠান।