মনোনয়ন ফরম নিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা
নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১২ পিএম
বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এস এ কে একরামুজ্জামান সুখন। তবে সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে রাজপথে সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে বিএনপি। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন উপদেষ্টার এমন সিদ্ধান্তে বিব্রত উপজেলা বিএনপি। এ কথা জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতা। সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তার পক্ষে এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা নির্বাচনে যাবেন, তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত বিএনপির। এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এস এ কে একরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির একক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন এস এ কে একরামুজ্জামান। তবে এর আগেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ‘কুলা’ মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন একরামুজ্জামান। কিন্তু একবারও সংসদে যেতে পারেননি তিনি।
এস এ কে একরামুজ্জামান সুখন বলেন, আজকে আমার জামিনের তারিখ ছিল, আল্লাহর রহমতে জামিন পেয়েছি। আমার পক্ষ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি একটি প্রাথমিক কাজ। নির্বাচনের ব্যাপারে আরেকটু স্থির হয়ে চিন্তা করে কাল-পরশুর মধ্যে জানাব। তিনি বলেন, কিছু কিছু সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে নিতে হয়। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, সরকারকে একা খেলতে দেওয়া উচিত হবে না। আমি যে আদর্শ লালন করি, সেই চিন্তা থেকে মনে করি, আমি ২০ বছর ধরে যেখানে কাজ করছি সেখানকার মানুষের জন্যই আমার নির্বাচনে যাওয়া উচিত।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন তুহিন জানান, আমরা আন্দোলনরত আছি। এ অবস্থায় তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা তার ব্যক্তিগত। তিনি যদি নির্বাচন করেন তাহলে তার ব্যাপারে দল সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা দলের সিদ্ধান্তে আছি।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন, আমি লোকমুখে তার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ব্যাপারটি শুনেছি। ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। তবে তিনি যদি এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে তা দলের জন্য বিব্রতকর। চলমান আন্দোলনে যদি কেউ দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে দল অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এবং আমরা দলের পক্ষেই থাকব।