Logo
Logo
×

সারাদেশ

বগুড়া অ্যাভোকেটস বার সমিতি

নির্বাচনে আ. লীগ প্যানেলের ভরাডুবি, নেপথ্যে দলাদলি

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম

নির্বাচনে আ. লীগ প্যানেলের ভরাডুবি, নেপথ্যে দলাদলি

বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী পরিষদ প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী প্যানেলের পরাজয়ের নেপথ্যে দলাদলি, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকা ও মূল সংগঠনের অনেক পদধারী নেতার অসহযোগিতাকে দায়ী করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াতের প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়লাভের কারণ সম্পর্কে বলা হচ্ছে, এটা নিজেদের ঐক্যবদ্ধতা ও সরকারের দুঃশাসনের ফল।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সূত্র জানায়, বার্ষিক এ নির্বাচনে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ফারুক-নবাব প্যানেল এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের মুক্তা-জাফর পরিষদ পূর্ণাঙ্গ ১৩ পদে প্রার্থী দেয়। বাম গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি মনোনীত পল্টু-ববি পরিষদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাত পদে এবং অ্যাডভোকেট আজবাহার আলী সহ-সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। মোট ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গওহর আলী ভবনে ভোটগ্রহণ হয়। মোট ৮৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৮২০ জন ভোট দেন।

শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বিনয় কুমার ঘোষ রজত ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের মুক্তা-জাফর পরিষদ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয়তাবাদী প্যানেলের আতাউর রহমান খান মুক্তা ৫০৭ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম আওয়ামী প্যানেলের গোলাম ফারুক পেয়েছেন ২৭৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জহুরুল হক জাফর ৩৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম জাকির হোসেন নবাব পেয়েছেন ৩০৪ ভোট।

জাতীয়তাবাদী প্যানেলের অন্য বিজয়রা হলেন- সহ-সভাপতি পদে জাহিদুল হাসান মুন্নু ও রিয়াজ উদ্দিন, যুগ্ম-সম্পাদক পদে মাহফুজার রহমান মাসুদ ও হেলাল উদ্দিন, লাইব্রেরি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান মিজান, ম্যাগাজিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আ.ন.ম বজলুর রশীদ শাহীদ এবং কার্যকরী সদস্যের পাঁচ পদে নাসরিন আকতার জাহান জেরিন, নুরুল ইসলাম আকন্দ, নাজমুল হোসেন, সাইফুদ্দিন সাইফুল ও জাকারিয়া সরকার ফেরদৌস নির্বাচিত হয়েছেন।

গত বছরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্যানেল সভাপতি ও একটি সদস্য পদ পেয়েছিল। প্যানেলের শোচনীয় পরাজয় সম্পর্কে সভাপতি প্রার্থী গোলাম ফারুক বলেন, পরাজয়ের প্রধান কারণ নিজেদের মধ্যে বিভক্তি। ২০১৭ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কমিটি নেই। সংগঠনে বিরোধিতাকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন পদধারী প্রকাশ্য ও গোপনে ষড়যন্ত্র করে জামায়াত-বিএনপি প্যানেলকে ভোট দিয়েছেন। 
সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত জাকির হোসেন নবাব বলেন, বিভক্তির কারণে আমাদের ভোটাররা বিএনপি-জামায়াত প্যানেলকে ভোট দিয়েছে।

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের কারণ সম্পর্কে জাতীয়তাবাদী প্যানেলের নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান খান মুক্তা বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধতা, সততা, ভোটারদের আস্থা সর্বপরি দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী হতে সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, সরকার পুরো দেশ জেলখানায় পরিণত করেছে। ক্ষমতায় থাকতে বিরোধীদের ওপর নির্যাতন করছে। মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হচ্ছে। এসব বিবেচনায় ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের প্যানেলে ভোট দিয়েছে। দেশের এ অবস্থায় তাদের বিজয় সারা দেশে সরকারের জন্য একটা বার্তা বলেও জানান তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম