Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বর্ষণে বিপাকে বোরো চাষিরা, আমনেও শঙ্কা

Icon

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ পিএম

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বর্ষণে বিপাকে বোরো চাষিরা, আমনেও শঙ্কা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বাগেরহাটে টানা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ধানের বীজতলা। মাঠঘাট ও বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি রয়েছে পানির নিচে। যার ফলে বীজতলা ভেসে যাওয়া ও নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এছাড়া চারা দেওয়ার জন্য বীজ ধান প্রস্তুত থাকলেও, পানি ও বৃষ্টির কারণে বীজতলায় বুনতে পারছেন না কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত অব্যাহত ভারি বর্ষণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে ধানের চারা উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন চাষিরা। যার প্রভাব পড়বে বোরো উৎপাদনে। 

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৫ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে বোরো রোপণ করবেন কৃষকরা। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টনের মতো। বাগেরহাটে মূলত নভেম্বরের শুরু থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বোরো মৌসুম চলে। বোরো রোপণের জন্য চাষিরা নভেম্বরের শুরু থেকে চারা তৈরির জন্য খেতে বীজ ধান বোনা শুরু করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলা, কচুয়া, ফকিরহাট, চিতলমারী, মোল্লাহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমান জমিতে চাষিরা ধানের বীজ ফেলেছেন। জমিতে ফেলা ধানবীজ বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাচ্ছে। ধানবীজ ফেলার জন্য প্রস্তুত করা জমির ওপর ১-২ ফুট পর্যন্ত পানি রয়েছে। এ বৃষ্টি যদি স্থায়ী হয় তাহলে অনেক বেশি ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

কচুয়া উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক শেখ রুস্তম আলী বলেন, ১৮ কেজি ধান বীজ প্রস্তুত করেছিলাম চারা দেওয়ার জন্য। যে জমিতে বীজ বুনবো সেখানে এখন প্রায় ২ ফুট পানি। শনিবারের মধ্যে পানি না কমলে, আমার ৬ হাজার টাকার ধান একদম পানিতে ফেলে দেওয়া লাগবে।

মোল্লাহাট উপজেলার গারফা গ্রামের কৃষক প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ঝড়ে আমার খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একশর বেশি পেঁপে গাছ ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি গাছে ২৫ থেকে ৩৫ কেজি পেঁপে ছিল। এছাড়া সাম্মাম গাছেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বোরো ধানের বীজতলা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তবে এখনো সময় রয়েছে, কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। তবে ঘেরের পাড়ের সবজি ও শীতকালীন সবজিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

ঝড়োবাতাস বৃদ্ধি পেলে আমন ধানের কিছুটা সমস্যা হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম