বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিএনপি সমর্থিত ইউপি সদস্য আবদুল জলিলকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদম মারধর করেছে আওয়ামী লীগ নেতা জুলফিকার আলী ও তার সহযোগীরা। বুধবার উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ডে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভয়ে জলিল আইনের আশ্রয় নেননি। জলিল উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আর জুলফিকার ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
সূত্র জানান, ঘটনার দিন জলিল বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় জুলফিকারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সেখানে এসে রড ও পাইপ দিয়ে জলিলকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে কোনো অপরাধ ছাড়াই জুলফিকার তাকে মারধর করেছেন। ওই সময় তার পকেট থেকে ১২ হাজার টাকা হারিয়ে গেছে। এখন তিনি নিরাপত্তাহীনতায় থাকলেও লাভ হবে না ভেবে থানায় যেতে চাইছেন না।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জুলফিকার আলী বলেন, প্রতিটি অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে জলিলের নেতৃত্বে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তিনি বুধবার চায়ের দোকানে বসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তখন স্থানীয় কিছু ব্যক্তি তাকে বাধা দেন ও টানাহেঁচড়া করেন। নন্দীগ্রাম থানার নবাগত ওসি আজমগীর হোসাইন জানান, মামলা করলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।