চিলমারীতে রাস্তায় রাস্তায় ফেরি করে চিতল মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে কাজল চন্দ্র দাস নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সবুজপাড়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে বিশাল আকৃতির দুটি চিতল মাছ কাঁধে নিয়ে ফেরি করতে দেখা যায় তাকে। ওই মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ধরলা নদীর তীর এলাকায় বলে জানা গেছে।
মৎস্যজীবী ও মাছ ব্যবসায়ী কাজল চন্দ্র দাস জানান, কয়েকজন মৎস্যজীবী মিলে ধরলা নদীর কোলায় কাঠালি (নদীতে বাঁশ ও গাছের ডাল ফেলে উন্মুক্তভাবে মাছ চাষ) ফেলে রাখেন তারা। পরে ওই জায়গাকে অবরুদ্ধ করে বেশ কিছু চিতল মাছ শিকার করেন তারা। মাছগুলো নিয়ে মৎসজীবীরা ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ফেরি করে বিক্রি করেন। সেই মোতাবেক কাজল চন্দ্রের দায়িত্ব পড়ে চিলমারী এলাকা। কাজল চন্দ্র দাসের কাঁধে থাকা মাছ দুটির ওজন ১৫-১৬ কেজি হবে বলে জানান তিনি। এ সময় প্রতি কেজি মাছের মূল্য ২ হাজার টাকা করে হাঁকান তিনি।
সবুজপাড়া এলাকার ফরহাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম বাবু, সুমন মিয়া, কামরুল, রায়হান মিয়াসহ অনেকে জানান, ধরলা নদী থেকে শিকার করা মাছ দুটির স্বাদ ভালোই হবে কিন্তু দাম বেশি চাওয়ায় কিনতে পারছেন না তারা।
উপজেলা মৎস্য অফিসার নুরুজ্জামান খান যুগান্তরকে জানান, মাঝে-মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর বিভিন্ন এলাকায় চিতল, বোয়াল, বাঘাইড় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ ধরা পড়ে। এরকম মাছ ধরা পড়লে জেলে ও ব্যবসায়ী উভয়েই খুশি এবং লাভবান হয়। মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ধরনের মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তোলাসহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।