মিধিলির তাণ্ডবে বরিশালে গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম
মুলাদীতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি উপজেলায় আঘাত হানলে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূর্ণিঝড়ের কয়েক ঘণ্টার তাণ্ডবে ধানখেত ও রবিশস্য মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। সারা দিনে ভারি বৃষ্টিপাতে ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তবে ঝড়ে কোনো হতাহতের সংবাদ পাননি উপজেলা প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই উপজেলায় হালকা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় ভারি বৃষ্টি। কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে কৃষিজমি পানিতে নিমজ্জিত হয়। ফলে কৃষকের সরিষা, খেসারি, মসুর ডালের গাছ ডুবে বিনষ্ট হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে গাছপালা ভেঙে এবং উপড়ে পড়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুয়েক জায়গায় রান্নাঘর ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
চরকালেখান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার জানান, শুক্রবারের ভারি বর্ষণ এবং ঘূর্ণিঝড়ে এলাকায় কয়েক লাখ গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় আমন ধান, সরিষা, খেসারি ও মসুর ডাল নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন, সরিষা ও ডাল চাষ হয়েছে। ঝড় ও ভারি বর্ষায় সরিষার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমন ধান ও ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মুলাদী পল্লী বিদ্যুতের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবীর জানান, ঝড়ের পূর্বাভাসে বিদ্যুৎ লাইন আগেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ঝড়ে ৭-৮টি খুঁটি ভেঙে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে লাইনগুলো পর্যবেক্ষণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দীন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতির খবর পেয়েছি। তবে কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।