Logo
Logo
×

সারাদেশ

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভারি বর্ষণ

Icon

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৮ পিএম

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভারি বর্ষণ

উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির মাত্রা।

শুক্রবার সকাল থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আরও জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি আজ দুপুরের দিকে পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম করতে পারে। এর আশপাশে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। মিধিলির প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ ভারি বর্ষণ হতে পারে। পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

এদিকে বরগুনায় সকাল থেকেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া থেকে ভারি বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নায়ন বোর্ড জানান, নদীতে ভাটা থাকায় পানি এখনো বিপদসীমার নিচে। তবে জোয়ারের সময় পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বৃদ্ধি পেতে পারে।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, এ জেলায় ৬৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য ৫০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলোর ভাঙনরোধে জিওব্যাগ প্রস্তুত রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বরগুনায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৯ হাজার ৬১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মিধিলি মোকাবিলায় ৬ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ৪৩০ টন চাল, ৯৬ বান্ডিল ঢেউটিন ও ২০০০ পিস কম্বল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচির (সিপিপি) টিম লিডার জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, বরগুনা উপকূলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও শুক্রবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে গাছপালার গোড়া নরম হয়ে যায়। সবাইকে নিরাপদে থাকতে হবে।

জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম জানান, সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয় নিতে হবে। আমাদের জেলা প্রশাসন থেকে সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এছাড়া চরাঞ্চলের সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমস্যা মনে করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা করে গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত সব মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য মৎস্য বিভাগ ও ট্রলার মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম