Logo
Logo
×

সারাদেশ

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

Icon

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৮ পিএম

প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে বখাটে যুবকদের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৫)। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শনিবার উলিপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

কিশোরীর পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর পূর্বে উলিপুর পৌরসভার নাওডাঙ্গা এলাকার শুধান চন্দ্র রায়ের ছেলে শান্ত চন্দ্র রায়ের (২০) সঙ্গে রংপুর (পীরগাছা) এলাকার ওই কিশোরীর গ্রামে উৎসবের সময় (দুর্গাপূজা) উভয়ের পরিচয় হয়। সেই থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক।

গত ৬ নভেম্বর ওই কিশোরী বাবা-মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ি উলিপুরে (ধামশ্রেনীতে) বেড়াতে আসেন। নানার বাড়িতে থাকাকালীন সময় শান্ত চন্দ্রের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়। এরপর শুক্রবার বিকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক শান্ত পৌরসভার নাওডাঙ্গা নামক বিলে ওই কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নেয়। তারপর তারা দুজন ওই এলাকায় অবস্থান করেন।

সেখান থেকে সন্ধ্যার পর অটোরিকশা যোগে অজ্ঞাত স্থানে যাওয়ার সময় ওই এলাকার কয়েকজন বখাটে যুবক তাদের পথরোধ করে কৌশলে শান্তকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। ওই বখাটের দল কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম এলাকার নির্জন জায়গার একটি সেচ পাম্পের ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে কিশোরীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কিশোরী কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী বাকরেরহাট বাজারের এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ভিকটিমের স্বজনরা জানায়, কাউকে কিছু না বলে ঘটনার দিন বিকালে ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সবাই তার খোঁজ করতে থাকেন। পরবর্তীতে ওই দিন রাত ১১ টার পর তারা জানতে পারেন তাদের মেয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরে তারা ছুটে এসে এই নির্মম পৈচাশিক ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারেন।

এ ঘটনায় পরদিন শনিবার কিশোরীর মা বাদী হয়ে শান্ত চন্দ্রসহ নামীয় চারজন ও অজ্ঞাতনামা দুইজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

উলিপুর থানার ও গোলাম মর্তুজা জানান, শনিবার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম