Logo
Logo
×

সারাদেশ

৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ব্যালটে সিল, সেই আজাদ কারাগারে

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম

৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ব্যালটে সিল, সেই আজাদ কারাগারে

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দ্রগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক বেলায়েত হোসেন তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতের জিআরও মো. শরীফ উল্যাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ আজাদকে আদালতে সোপর্দ করে। এতে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তবে এসব বিষয়ে জেলা পুলিশ ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। বক্তব্য জানতে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তহিদুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এর আগে শুক্রবার ভোরে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদের বাড়ি থেকে ‘পুলিশ’ পরিচয় আজাদকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে। শুরু থেকেই আজাদ পুলিশের কাছে ছিল বলে তার বড় ভাই যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন দাবি করে আসছিলেন। 

আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ও দিঘলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তিনি সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। আজাদ চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগ নেতা মাসুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। 

থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার ভোরে আজাদ আমাদের বাড়িতে আসে। পরে তাকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না।

গত ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচন হয়। দিঘলী ইউনিয়নের দক্ষিণ খাগুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজাদ ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারেন। এ ঘটনার ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় আজাদ একাই ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় ৪৩টি সিল মারেন। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় হয়। এ ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে গেজেট প্রকাশ স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পৃথকভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে ইসিসহ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম