গাজীপুরে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকের আবারো সংঘর্ষ
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৫:০৬ পিএম
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি বিসিক শিল্প এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপরের পর থেকে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন তুসকা গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরাও।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে কোনাবাড়ি বিসিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপর পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে উত্তেজিত শ্রমিকরা কোনাবাড়ির তুসকা কারখানা এলাকায় ফের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাবের একাধিক টহল টিম কাজ করছে।
কারখানা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালেও শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন।
সকাল ৮টার দিকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা-শিববাড়ি সড়কে শ্রমিকরা সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিছু সময় পর গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কে কাঠ, গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
দুপুরের খাবারের বিরতির পর থেকেই শ্রমিকরা আবার আন্দোলন শুরু করেন। প্রথমে কোনাবাড়ি বিসিক এলাকার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। এরপর মিছিল করতে করতে আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিলে উত্তেজিত শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তুসকা গার্মেন্টস লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকরাও রাস্তা নেমে আসেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, শ্রমিকদের প্রথমে আমরা শান্ত থাকতে অনুরোধ করি। তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে আন্দোলনে নামেন এবং তারা নাশকতামূলক কাজ শুরু করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
গাজীপুর-২ শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলছে। এ মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না।