স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় বরগুনায় যুবকের যাবজ্জীবন
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. ছগির ফরাজি নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড; অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। অর্থদণ্ডের ২০ হাজার টাকা স্কুলছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ছগির ফরাজি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ছোট টেংরা গ্রামের মো. সেকান্দার ফরাজির ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি অনুপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সময় ভিকটিম দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্কুলে যাতায়াতের সময় ওই ছাত্রীকে দেখে মুগ্ধ হয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেন ছগির ফরাজি। এতে রাজি না হওয়ায় ২০০৮ সালের ৮ জুলাই বিকাল ৪টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর সুযোগ পেলেই আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছে। কিছুদিন পর বিয়ের কথা বললে ছগির রাজি হয়নি।
ভিকটিমের মা জানতে পেরে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তাতেও ছগির বিয়ে করতে রাজি হননি। পরে ভিকটিম (১৬) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দণ্ডিত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
ভিকটিম বলেন, আসামি আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম কিন্তু সে বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছে।
আসামির আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, আসামি জামিনে গিয়ে ভিকটিমকে বিয়ে করেছেন। স্থানীয়ভাবে আপস হয়েছেন। পরে সাক্ষীরা ঠিকমতো সাক্ষ্য দেননি। আদালত রায়ে উল্লেখ করেন- এটি একটি ধর্ষণ মামলা। আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনোক্রমেই ধর্ষণ মামলা আপস করা যায় না। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান আপস করেছেন মর্মে অনেক সাক্ষী আদালতে সাক্ষী দিলেও সেটি গ্রহণযোগ্য হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আশরাফুল আলম বলেন, বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেন, আসামি আজকে অনুপস্থিত ছিলেন। অল্প দিনের মধ্যেই তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তারপর আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।