পলাতক বিএনপি নেতা না খেয়ে আছে পরিবার
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ পিএম
ধরপাকড়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা বিএনপির নেতানকর্মীরা। গত কয়েক দিনে ৩০ নেতাকর্মীকে থানা পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। একই অবস্থা উপজেলার জামায়াতের নেতাকর্মীদের। গ্রেফতার আতঙ্কে অনেক কর্মী-সমর্থক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর ঝামেলা পোহাচ্ছে তাদের পরিবার পরিজন। বেশি বেকায়দায় আছেন দিন এনে দিন খাওয়া নেতাকর্মীরা।
পুলিশের ভয়ে বিএনপির কোনো স্তরের নেতাকর্মীই কাজও করতে পারছে না, ঘরেও থাকতে পারছেন না বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ নিহত হওয়ার জেরে দেশজুড়ে ধরপাকড়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একই অবস্থা ভাঙ্গুড়া উপজেলার। উপজেলার নের্তৃস্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর সিংহভাগ এখানে জেলহাজতে আটক রয়েছেন।
তারা আটক থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তাদের পরিবার। আটক অনেকেই দিনমজুর। মূলত তাদের আয়েই চলত সংসার। এছাড়া যারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আছেন, তারা কোনো কাজে যোগদান করতে পারছেন না। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করে চলেছে তাদের পরিবার।
২৮ অক্টোবর রাতে আটক হওয়া কলকতি সিংগাড়ি গ্রামের যুবদল নেতা আল-আমিনের বাড়ি গিয়ে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। তার আটকের পরে বিপাকে পড়েছে তার পরিবার। ধারদেনা করে চলছে তার বৃদ্ধা মা। খেয়ে, না খেয়ে দিন পার করছে পরিবারের সদস্যরা।
পালিয়ে থাকা উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আখিরুজ্জামান মাসুম জানান, অব্যাহত ধরপাকড়ে পুলিশকে সহযোগিতা করছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তার দাবি, বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের পুলিশ চেনার কথা না। গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে থাকা উপজেলা বিএনপির নের্তৃস্থানীয় একজন জানান, গ্রেফতার এড়াতে তাকে লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। তার আয়েই সংসার চলত। আয় বন্ধ হওয়ায় এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তিও দিতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তার একমাত্র গরুটি বিক্রি করে দিতে হয়েছে। সে কাজটিও করাতে হয়েছে অন্যকে দিয়ে। ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।