গাজীপুরে কারখানায় আগুন ও ভাঙচুর, ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ০২:৩৮ পিএম
গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ছাত্রদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দলীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে দলের জৈষ্ঠ নেতাদের নির্দেশে শ্রমিকদের আন্দোলনে অংশ নেয় বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই ছাত্রদল নেতা।
গ্রেফতার মোশারফ হোসেন গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইছুটি গ্রামের মো. সুরুজ আল মামুনের ছেলে। রিপন কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সদর ও অর্থ) জিয়াউল হক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আহসানউজ্জামান, গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম ও ডিসি (ডিবি ও মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান।
গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার জানান, গাজীপুর জেলার বিভিন্ন শিল্প কল কারখানাসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন যানবাহনে দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে। গত ১ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক গাজীপুরের শ্রমিক আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প কারখানা পরিদর্শন করেন। এসময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিস্তারিত বর্ণনা দেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে জড়িত সব দুষ্কৃতিকারীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে এসময় আমরা কারখানা কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করি।
সফিপুরের লিডা ও ফর্টিস গার্মেন্টসের ভেতর গাড়ি ভাঙচুর ও দাহ্য পদার্থ ঢেলে গাড়িতে আগুন দেয়। পরে পুলিশ গার্মেন্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি এ কাজে নেতৃত্বদানকারী মো. রিপন হোসেন নামের এক যুবককে চিহ্নিত করা হয়। পরে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ নভেম্বর তাকে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা গ্রেফতার করে।
রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দলীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করতে দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে কালিয়াকৈরের লিডা ও ফর্টিস গার্মেন্টস এবং কোনাবাড়ীর এবিএম ফ্যাশন্স লিমিটেডে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর এর ঘটনায় অংশ নেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আগে আরো চারটি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করা হয়েছে এবং আজ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হবে পুলিশ কমিশনার জানান।