ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক গণপরিবহণ শূন্য
যুগান্তর প্রতিবেদন, টাঙ্গাইল
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম
টাঙ্গাইলে বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে গণপরিবহণ চলাচল ব্যতীত আর কোনো প্রভাব পড়েনি। শনিবার রাতে ঢাকায় চারটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে গণপরিবহণ চলাচল কমতে শুরু করে। পরে রোববার সকালে মহাসড়কটি গণপরিবহণ শূন্য হয়ে পড়ে। তবে পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকাআপ ও ব্যক্তিগত যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
এদিকে গণপরিবহণ বন্ধ থাকার পরেও রেলস্টেশনসহ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি কোনো চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গন্তব্যে যাচ্ছেন না। তাই যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।
এদিকে মহাসড়কসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে গেল অবরোধের মতো পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কড়াকড়ি ও জোরালো টহল না থাকলেও কোথাও বিএনপির কর্মী সমর্থকদের পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেফাতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা মৎসজীবী দলের সদস্য সচিব মোস্তফা কামাল, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ হাবিবুল আলম শাতিল, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল বাতেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাইসুল ইসলাম রুবেল।
পরে শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর এলাকার বাসা থেকে টাঙ্গাইল শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকন্দকে পুলিশ গ্রেফতার করে।