Logo
Logo
×

সারাদেশ

সিলেটে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হত্যায় প্রভাষকের মৃত্যুদণ্ড

Icon

ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৩:৫২ পিএম

সিলেটে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ হত্যায় প্রভাষকের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের ওসমানীনগরে আলোচিত বুরুঙ্গা ইউপির তিলাপাড়া শেখ ফজিলাতুন্নেছা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শায়খুল ইসলাম হত্যা মামলায় আসামি একই মাদ্রাসার প্রভাষক লুৎফুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে আদালত আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লুৎফুর রহমান একই মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার ফরিদপুর গ্রামের মৃত তাহির আলীর ছেলে। 

সোমবার সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।  

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন।

আদালত সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা শায়খুল ইসলাম সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইউপির তিলপাড়া শেখ ফজিলতুন্নেছা ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের আগে প্রভাষকের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলা ও অসদাচরণের জন্য আইনি পদক্ষেপ নেন শায়খুল ইসলাম। 

এ ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রভাষক লুৎফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে মামলা (নং-২২/২০১৫) দায়ের করেন। অসদাচরণ না করার অঙ্গীকার করে একপর্যায়ে পুনরায় চাকরিতে যোগদান করেন লুৎফুর রহমান। চাকরিতে যোগদান করেও তার আচরণের পরিবর্তন হয়নি। বিষয়টি অধ্যক্ষ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে জানান। ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সামনে অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দেন লুৎফুর রহমান।

১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শায়খুল ইসলাম সিলেটের ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে ভাড়া বাসা থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশে বের হন। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের বুরুঙ্গা সড়কের মুখে লুৎফুর রহমানের সঙ্গীদের নিয়ে নিজের প্রাইভেটকার (সিলেট-খ-১১-০০৫৪) চালিয়ে অধ্যক্ষ শায়খুল ইসলামের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে তাকে হত্যা করেন। এ সময় লুৎফুরের প্রাইভেটকার উল্টে যায় এবং তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর প্রভাষক লুৎফুর রহমানকে আটক করে পুলিশ। 

এ ঘটনায় নিহত অধ্যক্ষে স্ত্রী দিলবাহার তালুকদার লিপি বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিনুল ইসলাম ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

একই বছরের ১১ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরু হয়। মামলার দীর্ঘ শুনানিতে ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত গত সোমবার রায় ঘোষণা করেন।  

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম