Logo
Logo
×

সারাদেশ

পটিয়া মাদ্রাসায় নতুন পরিচালনা পর্ষদ, অবৈধ বলছেন মহাপরিচালক

Icon

পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১৬ পিএম

পটিয়া মাদ্রাসায় নতুন পরিচালনা পর্ষদ, অবৈধ বলছেন মহাপরিচালক

চট্টগ্রামের পটিয়া আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাকে সরিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট পর্ষদ গঠন করেছেন তার বিরোধীরা। 

রোববার রাতে মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত মজলিসে শূরার কিছু সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ পরিচালনা পর্ষদ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকে মহাপরিচালকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে সে বৈঠকে শূরার প্রধান ও মাদ্রাসার প্রধান মুরুব্বি আল্লামা সুলতান যওক নদভীসহ অধিকাংশ শূরা সদস্য উপস্থিত ছিলেন না।

সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে- আল্লামা আবু তাহের নদভিকে পরিষদের আহবায়ক করা হয়। পর্ষদের অন্য সদস্যরা হলেন- আল্লামা আমিনুল হক, হাফেজ মুফতি আহমদুল্লাহ, মুফতি শামসুদ্দীন জিয়া ও মুফতি একরাম হোসাইন ওয়াদুদী। 

সভা শেষে বাবুনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী এবং ফটিকছড়ি বায়তুল হুদা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা এমদাদুল্লাহ নানুপুরী মাদ্রাসার মসজিদে ছাত্রদের অধিবেশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। 

এ সময় ছাত্রদের নিয়মিত লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়ার এবং সোমবার থেকে যথারীতি ক্লাস চালু থাকবে বলে জানান তারা। 

জানা গেছে, মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মাওলানা খলিলুর রহমান কাসেমী পটিয়া মাদ্রাসার শূরা সদস্য নয়। মহাপরিচালক বিরোধী ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের এনে বৈঠক করিয়েছেন।  

এদিকে বিরোধীদের এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ হামজা। নিজ প্যাডে স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দুটি বিষয়ে নিজের অবস্থান জানান তিনি।  

‘দুটি বিষয় সবার কাছে পরিষ্কার হওয়া জরুরি’ শিরোনামে ওই বার্তায় তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসার সংবিধান অনুযায়ী কোনো মুহতামিম ইস্তফা দেওয়ার অভিভাবক হলো শূরা পরিষদ। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মুখোশ পরা সশস্ত্র হত্যার হুমকির মুখে যদি সিগনেচার নেওয়া হয় সেটি শরিয়তের দৃষ্টিতে অবৈধ দেশীয় আইনেও অপরাধ। মূলত আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পুরো পরিবারকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক সিগনেচার নেওয়া হয়েছে, যার বিরুদ্ধে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছি। 

দ্বিতীয় বিষয়ে তিনি বলেন, পটিয়া মাদ্রাসা ইত্তেহাদের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। নিয়মতান্ত্রিক শূরা পরিষদ আছে। ইত্তেহাদের যিনি চেয়ারম্যান তিনি মাদ্রাসার শূরার চেয়ারম্যান। আগামী ২ নভেম্বর শূরার তারিখও নির্ধারিত ছিল। সেই শূরা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে সশস্ত্র বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে মাদ্রাসায় উশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে নিয়মতান্ত্রিক বৈধ পরিচালককে মাদ্রাসা থেকে অপহরণ করে বের করে দিয়ে যে স্টাইলে শূরার নামে নাটক করা হয়েছে সেটি ইত্তেহাদের সংবিধান অনুসারে অবৈধ মাদ্রাসার নিজস্ব সংবিধানে অবৈধ এবং দেশীয় আইনে অপরাধ। শূরা আহ্বান করার একমাত্র অধিকার মাদ্রাসার পরিচালক এবং ইত্তেহাদের চেয়ারম্যানের রয়েছে, আর কারোই শূরা আহ্বান বৈধ নয়।   

এর আগে শনিবার গভীর রাতে মাদ্রাসার ভেতরে বিরোধী পক্ষের ছাত্রদের হাতে হেনস্তার শিকার হন মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ হামজা। এ সময় তার বাসভবনে ভাঙচুরের পাশাপাশি বেশকিছু ছাত্র জোরপূর্বক মহাপরিচালকের পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেন।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুল্লাহ্ হামজা রোববার পটিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম