ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা, গার্ডসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০০ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহত নজরুলের ভাই বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় কন্টেইনার ট্রেনটির চালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী চালক আতিকুর রহমান ও পরিচালক (গার্ড) মো. আলমগীরকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভৈরব রেলওয়ে থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন দুর্ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন। এছাড়া এ মামলায় ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, নজরুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। তিনি পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার সররাবাদ গ্রামের দরশন মিয়ার ছেলে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ায় থাকতেন নিহত নজরুল।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলীম হোসেন শিকদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইতোমধ্যেই এ মামলার তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা, ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের গাফিলতি আর অবহেলার কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটত না। আসামিদের গাফলতিতে ট্রেন দুর্ঘটনায় বাদীর ভাই নজরুল এ দিন গুরুতর আহত হয়ে পরদিন মারা যান।
মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি আমার ভাইকে হারিয়েছি। দুর্ঘটনায় অনেকে পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সদস্য হারিয়েছেন এবং তারা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আমরা কেউ কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের আর ফিরে পাব না। ট্রেনের গার্ড, চালক ও সহকারী চালকসহ রেলের কয়েকজনের খামখেয়ালির কারণে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। কোনো দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি হয় না। শাস্তি হয় না বলেই দেশে বারবার দুর্ঘটনা বাড়ছে। শাস্তির আওতায় আনার জন্যই আমি মামলাটি করেছি। আমি আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিচার চাই।
গত সোমবার ভৈরব বাজার জংশনের কাছাকাছি জগন্নাথপুর এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এগারসিন্দুর গোধূলি ও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী কন্টেইনার ট্রেনের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সর্বশেষ ১৮ জন নিহত হন। আহত হয় শতাধিক।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম, আতিকুর রহমান ও গার্ড আলমগীর হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।