দুই ট্রেনের সংঘর্ষের কারণ জানাল রেলওয়ে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৭ পিএম
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
এ দুর্ঘটনার জন্য কনটেইনারবাহী ট্রেনের চালক ও তার সহকারীকে দায়ী করছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কনটেইনারবাহী ট্রেনটির চালক ও সহকারী চালক সিগন্যাল অমান্য করায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তাদের দাঁড়ানোর কথা ছিল ভৈরব স্টেশনের আউটার সিগন্যালে। কিন্তু তারা সেটি না করে সিগন্যাল অমান্য করে ট্রেনটি চালিয়ে চলে আসে। একই সময় ভৈরব স্টেশন থেকে বের হয়ে ঢাকার পথে আসছিল যাত্রীবাহী এগার সিন্ধুর এক্সপ্রেস। চট্টগ্রামমুখী মালবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন এগার সিন্ধুরের পেছন থেকে তৃতীয় বগিতে আঘাত করে।
রেল কর্মকর্তা নাজমুল বলেন, কোনো স্টেশনের আউটার হচ্ছে ট্রেনগুলোকে অপেক্ষায় রাখার জায়গা। অন্য ট্রেনকে জায়গা দিতে আউটার এলাকায় ট্রেন থামার সংকেত বাতি (সিগন্যাল) আগেই জ্বালিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে।
সেই সংকেত বাতি জ্বলেনি, নাকি কনটেইনার ট্রেনের চালক সংকেত দেখতে পাননি সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি সিগন্যাল দেখেননি, না অন্য কোনো কারণ ছিল- এসব খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি কাজ করবে।
তিনি আরও জানান, এগারসিন্ধুর যখন ঢাকার দিকে যাচ্ছিল, তখন এটার পেছনের অংশে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। সেখানে একটা সাইড কলিশন হয়েছে। যার ফলে হতাহত আছে।
এ ঘটনায় কনটেইনারবাহী ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার) জাহাঙ্গীর আলম ও সহকারী লোকো মাস্টার আবিদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।