কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ পর্যন্ত ২০ যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক।
সোমবার বিকালের ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বগির নিচ থেকে একে একে লাশ বের করা হচ্ছে। এখনো অনেক যাত্রী বগির নিচে চাপা পড়ে আছেন। সংঘর্ষে উল্টে যাওয়া ট্রেনের বগিগুলো ক্রেন ছাড়া সরানো সম্ভব হচ্ছে না।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মোশাররফ জানান, দুর্ঘটনাকবলিত এগারসিন্ধুর গোধুলীর তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ বের করা হচ্ছে। বগির নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাতেও উদ্ধারকাজ চলবে।
সোমবার বিকালে রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে আন্তঃনগর এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল, আর যাত্রীবাহী ট্রেনটি ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ কয়েকটি বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি।
এ সময় যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি উল্টে যায়। খবর পেয়ে উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন।
তারা আরও জানান, উল্টে যাওয়া ট্রেনের বগির নিচে অনেক যাত্রী চাপা পড়ে আছে। এছাড়া রেললাইনের ওপর অনেকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা খান জানান, ভৈরব রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর পরই স্টেশনের আউটারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে মালবাহী ট্রেনটি ‘সিগন্যাল না মানায়’ এ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।