দোহার ও নবাবগঞ্জে প্রতিমা তৈরি শেষ, চলছে রংতুলির আঁচড়
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:২৫ পিএম
ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় সনাতন ধর্মের অনুসারী হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে ঘিরে সর্বত্রই সাজ সাজ রব। উপজেলা দুটিতে এবার ২৩৮টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুর্গোৎসব। এসব মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ; এখন চলছে প্রতিমায় রংতুলির আঁচড় দেওয়ার কাজ। প্রতিমা তৈরির কাজে নিয়োজিত শিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি পূজা মণ্ডপে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নবাবগঞ্জের ১৪টি ইউনিয়নে ১৯৫টি ও দোহারে ৪৩টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ বছর দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্ন বস্ত্রবিতানে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে দোহার জয়পাড়া, কার্তিকপুর, নবাবগঞ্জের পাড়াগ্রাম, বাগমারা ও নবাবগঞ্জ নিউ জেলা পরিষদ মার্কেটে ক্রেতাদেরও ভিড় লক্ষ্য করা যায়। উৎসবের আমেজে দেখা যায় উপজেলা সদর এলাকার কলাকোপা ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে। বিশেষ করে কাশিমপুর, পোদ্দার বাজার, বাগমারা এলাকায়। এছাড়া যন্ত্রাইল, শোল্লা, কৈলাইল, নয়নশ্রী ও জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে চলছে দেবী দুর্গাকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি।
নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু স্বপন কুমার সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু দেবাশীষ চন্দ জানান, আগামী ২০ অক্টোবর শারদকালে মহালয়ার তিথিতে পুরোহিতের বেদমন্ত্র উচ্চারণ, ঘণ্টা, শঙ্খধ্বনি, মায়েদের উলুধ্বনি আর ঢাকের তালে এই বিশ্ব ধরণিতে ঘোটকে চড়ে নেমে আসছেন মহামায়া দশভুজা শ্রীশ্রী দুর্গা মাতা। ২৪ অক্টোবর সবাইকে কাঁদিয়ে মাতা ফিরে যাবেন তার নিজ ভূমে।
এ বছর দুর্গাপূজা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে উদযাপন করতে পারেন এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবশ্যই সদা সচেষ্ট থাকবেন। যুগ যুগ ধরে চলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বজায় থাকে এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও দায়িত্ববান হতে হবে।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মাদক পরিহার করতে হবে। ধর্মীও ভাব বজায় রেখে সুন্দর পরিবেশে দুর্গাপূজা যাতে অনুষ্ঠিত হয় সেই বিষয়ে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনোরকমের বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ দেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার। সমস্যা তৈরি করলে সিসি ক্যামেরা দেখে ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।