অপহরণের ১০ দিন পর বন্ধুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে যুবকের লাশ
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০১ এএম
রাজশাহীতে অপহরণের ১০ দিন পর বন্ধুর ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণ করার পর মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মাহফুজুর হোসেন ওরফে সজল (৩৮) মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম মুন্সিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ মর্তুজা হোসেনের ছেলে।
গ্রেফতার মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী ওরফে রিপন (৪০) নাটোরের লালপুর উপজেলার আবদুলপুর গ্রামের মৃত হামিদুল হকের ছেলে। মহানগরীর শাহমখদুম থানার সন্তোষপুর মহল্লার এক বাসায় ভাড়া থাকতেন রিপন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, নিহত সজল ও আসামি রিপন দুই বন্ধু। তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সজলের বাবা মর্তুজা হোসেন বুধবার কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১ অক্টোবর সুজনকে অপহরণ করা হয়েছে। সজলকে ফিরিয়ে দিতে অপহরণকারী প্রথমে এক কোটি এবং পরে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।
এই জিডির পর কাশিয়াডাঙ্গা ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারে, মুক্তিপণ দাবি করা ব্যক্তির অবস্থান রিপনের ভাড়া বাসায়। এর পর রিপনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন রিপন জানান, অপহরণের পর দিন ২ অক্টোবর রিপনকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে বুধবার রাতে কাশিয়াডাঙ্গা এবং শাহমখদুম থানা ও ডিবি পুলিশ রিপনকে নিয়ে তার ভাড়া বাসায় অভিযানে যায়। এ সময় রিপনের দেখানো সেপটিক ট্যাংক থেকে সজলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ১ মাসের কারাদণ্ড
বিজয় বসাক জানান, এ ঘটনায় রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেছেন নিহত ব্যক্তির বাবা। সজলের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি রিপনকে বৃহস্পতিবারই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগেও রিপনের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলাও রয়েছে।