আত্মসমর্পণ করলেন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:১০ পিএম
হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রী জেরিন হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি সিএনজি অটোরিকশাচালক নুর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। রোববার তিনি হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এ আত্মসমর্পণ করলে বিচারক সুদীপ্ত দাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর স্টেনোগ্রাফার পার্থ প্রতীম সেন জানান, ওই মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর আদালত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মামলার অপর আসামি জাকির হোসেন কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি সকাল ৮টায় নূর আলমের অটোরিকশায় উঠে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন জেরিন। পথে ওই অটোরিকশায় ওঠেন জাকির হোসেন। জেরিনের স্কুল পেরিয়ে গেলেও তাকে নামিয়ে না দিয়ে অটোরিকশা জোরে চালানো শুরু করেন নূর আলম। এ সময় জোর করে অটোরিকশা থেকে নামার চেষ্টা করলে জেরিনের সঙ্গে জাকিরের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে অটোরিকশা থেকে লাফ দেয় জেরিন।
এতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায় জেরিন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ১৯ জানুয়ারি সকালে মারা যায় জেরিন।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে জেরিনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার হলে অটোরিকশাচালকের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন এলাকাবাসী ও জেরিনের সহপাঠীরা। ২০ জানুয়ারি রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন জেরিনের বাবা। ২১ জানুয়ারি জাকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন জাকির। গ্রেফতার করা হয় নূর আলমকেও। তিনিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ওই মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক তাদের উভয়ের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এ সময় আসামি জাকির আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং নূর আলম পলাতক ছিলেন।