![বরিশালে ৩৬ পূজামণ্ডপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/10/05/image-725461-1696509947.jpg)
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। মহানগর ও সদর উপজেলার পূজামণ্ডপ কমিটির নেতাদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়- বরিশালে এবার ৩৬ পূজামণ্ডপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় পূজা উদযাপন নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়। সামনে নির্বাচন থাকায় সবাইকে সতর্ক হয়ে পূজা উদযাপনের জন্য আহবান জানান বক্তারা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকায় এবার চারটি পূজামণ্ডপ বেড়ে ৮৭টি হয়েছে। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপ ৩৬টি ও ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭টি।
সভায় পুলিশ কমিশনার জানান, চারটি পূজামণ্ডপে বিরোধ রয়েছে; যা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিসর্জন দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, আতশবাজি নিষিদ্ধ, আনসার থাকবে মন্দির ভেদে ৪, ৬ ও ৮ জন, সিসি ক্যামেরা আছে ৪৯টি পূজামণ্ডপে এবং যে পূজামণ্ডপগুলোর সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সামর্থ্য নেই তাদের সহায়তা করবে পুলিশ।
তিনি বলেন, এবারের পূজায় সর্বজনীন ৭৮ ও ব্যক্তিগত ৯টি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক থাকবে ৮৪১ জন। এছাড়া পূজামণ্ডপকেন্দ্রিক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন বলেন, পূজাকে ঘিরে মাদক নিয়ন্ত্রণে শুধু পুলিশ নয় সবাইকে শক্ত অবস্থানে থাকতে হবে। কারো উপর দোষারোপ না করে সম্মিলিতভাবে মাদক প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরিশালে সম্প্রীতি সব সময় ছিলে। এই সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্প্রীতি কমিটি গঠনের মাধ্যমে পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
সভায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা, নজরুল ইসলাম, জাকির হোসেন মজুমদার, র্যাব-৮ এর উপ পরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম, বিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম, মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সাবেক সভাপতি শাহ সাজেদা, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল দুলাল, বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু, মহানগরের সাবেক সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র দে নারু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তমাল মালাকারসহ বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।