Logo
Logo
×

সারাদেশ

নাটোরের কলেজ অধ্যক্ষ রাজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৫ পিএম

নাটোরের কলেজ অধ্যক্ষ রাজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অসৎ উপায়ে অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ায় নাটোরের বড়াইগ্রামের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মো. কামরুল আহসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে। 
কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রাশেদুল ইসলাম ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।

পরবর্তীতে এই অনুসন্ধান টিম আসামি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার নামে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির প্রাথমিক সত্যতা পায়। এরপর অনুসন্ধান টিম মামলা রুজুর সুপারিশ করে কমিশন বরাবর অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনের আলোকে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের এক চিঠির মাধ্যমে ওই কলেজ অধ্যক্ষের নামে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

দুদক সূত্র আরও জানায়, অনুসন্ধানকালে আসামি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার নিজ নামে ৩৬টি দলিল মূলে ৫.১৯০২ একর জমি, মৌজা রেটে ৭৭ লাখ ৩২ হাজার ৪৬১ টাকায় ক্রয় করেছেন। অথচ এই জমির প্রকৃত মূল্য কয়েক কোটি টাকা। এছাড়া নাটোরের বড়াইগ্রামে এই কলেজ অধ্যক্ষ ৫ তলা আলিশান বাড়ি নির্মাণ করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান শুরুর পরে তিনি তার অপ্রদর্শিত অর্থ বিশেষ সুবিধায় ১ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার ৭৯০ টাকা বাড়ি নির্মাণে বিনিয়োগ দেখিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। এছাড়া তার মোট ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। সবমিলিয়ে তার অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্য মোট ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৫৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে তার পারিবারিক ব্যয় ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ১৩৬ টাকা।

দুদক সূত্র জানায়, আসামি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ এবং পারিবারিক ব্যয়সহ তার অর্জিত সম্পদের মূল্য ২ কোটি ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪ টাকা। রেকর্ডপত্র অনুযায়ী এই আসামির অর্জিত সম্পদের মূল্য ২ কোটি ৪১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪ টাকার বিপরীতে তার আয় ২ কোটি ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৬ টাকা (১ কোটি ১০ লাখ ২৯ হাজার ৭৯০ টাকা বাড়ি নির্মাণে বিনিয়োগসহ)।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, আমরা অনুসন্ধান করে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাই। এজন্য তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম