Logo
Logo
×

সারাদেশ

‘থানা থেকে আসছি, আইনের লোক’  বলে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণ-টাকা লুট

Icon

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম

‘থানা থেকে আসছি, আইনের লোক’  বলে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণ-টাকা লুট

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর বাসায় ঢুকে স্ত্রী-মেয়েকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চণ্ডিপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

‘থানা থেকে আসছি আইনের লোক’ পরিচয় দিয়ে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী রেহানা আক্তার কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ ঘটনার পর থেকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তিনি। 

ভুক্তভোগী গৃহবধূ কাজল ওই বাড়ির প্রবাসী ইয়াকুব আহমেদ শামীম হাওলাদারের স্ত্রী। 

কাজলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার স্বামী শামীম সৌদি আরবে থাকেন। এতে বাসায় তিনি মেয়ে খাদিজা মেহজাবিন শারিকা (১২) ও ছেলে ইয়াসিন আহমেদ ইমনকে (৯) নিয়ে থাকেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও তাদের নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে বাসার মূল দরজার ওপরের ভেন্টিলেটর ভেঙে লাঠি দিয়ে ছিটকিনি খুলে বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা। পরে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে তাকে তিনজন লোক ঘুম থেকে উঠায়। এর মধ্যে দুইজনের মুখোশ পরা ছিল৷ অন্যজনের মুখ খোলা থাকলেও তাকে চিনেন না গৃহবধূ। একপর্যায়ে গলায়-পেটে ছুরি-চাপাতি ধরে তার হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে মেয়ে শারিকাকেও বাঁধে। একপর্যায়ে মা-মেয়ের কান-গলা থেকে দুল-চেইনসহ চাবি নিয়ে ওয়ারড্রবে থাকা প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণ ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় তারা। তখনও ছেলেটি ঘুমিয়ে ছিল। পরে একটি কক্ষে তাদের আটকে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় গৃহবধূর মোবাইল ফোন সেটটি নিয়ে তারা বাড়ির সামনের পুকুরপাড়ে ফেলে দিয়ে চলে যায়। 

রেহানা আক্তার কাজল বলেন, বাসায় ঢুকে তারা ‘থানা থেকে আসছি, আইনের লোক’ পরিচয় দিয়ে আমাদের ঘুম থেকে উঠিয়েছে। এর পর অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে তারা সব কিছু নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকেই ছেলেমেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। তাদের নিয়ে এখানে থাকতে খুব ভয় হচ্ছে।

চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আবুল কালাম আজাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েসহ গৃহবধূকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।

রামগঞ্জ থানার ওসি এমদাদুল হক বলেন, ঘটনাস্থল গিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনজন লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম