Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিদ্যালয়ের নলকূপে ‘বিষ’, ২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম

বিদ্যালয়ের নলকূপে ‘বিষ’, ২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে

নাটোরের বাগাতিপাড়ার জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের নলকূপে বোতলজাত বিষ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এতে মঙ্গলবার সকালে ওই নলকূপের পানি পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা নলকূপে পানি পান করতে যায়। এর মধ্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উপজেলার ক্ষিদ্রমালঞ্চি গ্রামের আরিফুর রহমানের মেয়ে ইসরাত জাহান মেঘলা (১৩) এবং একই গ্রামের রব্বেল আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন (১৪) পানি পান করে। এ সময় অন্যরা পানিতে বিষের গন্ধ পায় এবং অতিরিক্ত সাদা পানি বের হওয়া দেখে শিক্ষকদের খবর দেয়। শিক্ষকরা নলকূপটি পরিদর্শন করে পানিতে বিষের গন্ধের এবং সাদা পানি বের হওয়ার সত্যতা পায়। পরে পানি পান করা দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অসুস্থ শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান জানায়, অধিক পিপাসার কারণে আমরা দুইজন দ্রুত পানি পান করি। অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত আমাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন বলেন, বিষাক্ত পানি পান করা দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে খবর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সুস্থ রয়েছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নলকূপের পানির মধ্যে বোতলজাত বিষ ঢেলে দেওয়া হয়েছে। ওই নলকূপের পানির নমুনা বোতলে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর নলকূপের পানি ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশাত তাসনীন বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থী এখন সুস্থ রয়েছে। 

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি শফিউল আযম খান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। তবে বিষয়টি জানতে পেরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করতে বলেছেন। পরবর্তীতে তদন্ত করে এর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা সরকার বলেন, ঘটনাটি শুনতে পেয়ে সেখানে পুলিশ এবং গণস্বাস্থ্য দপ্তরের লোকজনকে পাঠানো হয়েছে। তারা আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছেন। এখন পুলিশ পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম