কক্সবাজারে কটেজে দুই নৃত্য শিল্পীকে গণধর্ষণ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫২ পিএম

কক্সবাজারের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্য শিল্পি গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। দুই নৃত্য শিল্পির মধ্যে একজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও রাত ১০টার দিকে বিষয়টি স্বীকার করেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম। তবে দুই কিশোরীর মধ্যে একজন অসুস্থ থাকায় ধর্ষণ থেকে রেহাই পেয়েছে বলে দাবি করেছেন ওসি।
ওসি আরও বলেন, জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একজন আটক রয়েছে। তার নাম ও পরিচয় পরে জানানো হবে।
ভিকটিম কিশোরীর চিকিৎসক, পুলিশ ও ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা মানুষের তথ্য মতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজ নামের প্রতিষ্ঠানে সোমবার রাতে দুই কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়।
কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে তাদের কক্সবাজার শহরে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি একটি চক্রের হাতে তাদের তুলে দেয়। রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে চক্রের সদস্যরা। সোমবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায় এক কিশোরী। অপরজন ঢাকার উদ্দেশে চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান।
পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।
ঘটনার পর থেকে রাজন কটেজে কাউকে পাওয়া যায়নি। অনেকেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা পুলিশ হেফাজতে বলে দাবি করলেও পুলিশ এ ব্যাপারে কোন তথ্য স্বীকার করেনি। এই কটেজ জোনে ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর ও ২৮ ডিসেম্বর গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।