দলিল লেখক রাশেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম
ঢাকার নবাবগঞ্জের বারুয়াখালী ইউনিয়নের ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা কথিত দলিল লেখক রাশেদ খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন ভুক্তভোগীরা।
তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অন্যের জমি দখল ও দলিল লেখক হিসেবে জাল দলিল তৈরিসহ বর্তমান বাজার মূল্যের চেয়ে কম দাম দেখানোর মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাশেদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। রাশেদ উপজেলার কাউনিয়াকান্দি গ্রামের মৃত সুলতান খানের ছেলে।
ভুক্তভোগী উপজেলার কাঞ্চননগর এলাকার মৃত মধুসুধন সরকারের ছেলে গোপাল সরকার বলেন, রাশেদ খান আমার ভোগদখলকৃত ১২ শতাংশের বেশি জমি নকল কাগজ তৈরি করে জোরপূর্বক দখল করেছে। সে আমাকে বলে- তোর বাবা আমার কাছে এই জমি বিক্রি করেছেন। এ ব্যাপারে আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
অপরদিকে উপজেলার কান্দা বাড়িল্লা গ্রামের সঞ্জয় মন্ডল, ছোট কাউনিয়াকান্দি গ্রামের বিপ্লব মন্ডল, সান সরকার, সোনাবাজু এলাকার কাইয়ুম, দাউদপুর গ্রামের লক্ষণ হালদার, বারুয়াখালী গ্রামের মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা সরকারি বিধি মোতাবেক জমি ক্রয়ের জন্য দলিল লেখক রাশেদ খানের কাছে রেজিস্ট্রি ফি, উৎস কর, লেখার ফিস বাবদ নগদ টাকা দেই; কিন্তু রাশেদ আমাদেরসহ প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি জমি ক্রেতার দলিলে জমির প্রকৃত মূল্যে ও বর্তমান বাজার মূল্য গোপন করে কম দাম দেখিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে সবাইকে দলিলের ফটোকপি দেয়। পরে আমরা আসল দলিল হাতে পেয়ে দেখি ক্রয় করা দামের চেয়ে অনেক কমমূল্য লেখা আছে মূল দলিলে। বিক্রেতা ও ক্রেতা লেখাপড়া না জানার কারণে বিষয়টি বুঝতে পারেননি।
এ বিষয়ে রাশেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলার বারুয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান এমএ বারি বাবুল মোল্লা বলেন, রাশেদ খানের বিরুদ্ধে জুয়া খেলা, মাদক বিক্রি ও সেবন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারবিরোধী অপপ্রচারসহ জাল দলিল, জোরপূর্বক জমি দখল ও অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সহজ-সরল মানুষের জমির দলিল করে দিয়ে অর্থ লুটে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাশেদের বিরুদ্ধে নবাবগঞ্জ থানায় অসংখ্য অভিযোগ ও জিডি করেছেন ভুক্তভোগীরা।