ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দবিরুল ইসলামের স্ত্রী হাসপাতালে

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ পিএম

ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ও ভাষাসৈনিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত অ্যাডভোকেট দবিরুল ইসলাম এমএলএর স্ত্রী আবেদা খাতুন হেনা গুরুতর অসুস্থ। তিনি দিনাজপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন। বার্ধ্যজনিত সমস্যা ছাড়াও তার কিডনির ৯০ শতাংশ কাজ করছে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাকে ২৬ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাষাসৈনিক দবিরুল ইসলামের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ ফিলিপ যুগান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৯ সালের ৪ জানুয়ারি প্রথম কাউন্সিল অধিবেশনে দবিরুল ইসলাম সংগঠনের সভাপতি (১৯৪৯-১৯৫৩) নির্বাচিত হন। সেই সময় তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। দবিরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন অন্যতম সদস্যও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী দবিরুল ইসলামকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি ঠাকুরগাঁও থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন। দবিরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালে আবু হোসেন সরকারের নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রমবিষয়ক পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি নিযুক্ত হন। জেলে পাকিস্তান সরকারের নির্মম নির্যাতনের কারণে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন দবিরুল ইসলাম। এ অবস্থায় ১৯৬১ সালের ১৩ জানুয়ারি মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন বঙ্গবন্ধুর এই ঘনিষ্ঠ সহচর।
বিয়ের মাত্র ১০ বছরের মাথায় ভাষাসৈনিক এবং বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ও বিশ্বস্ত সহচর দবিরুল ইসলামের মৃত্যুর পর চরম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে ৪ সন্তানকে (এক মেয়ে ও তিন ছেলে) বড় করেন তার বিধবা স্ত্রী আবেদা খাতুন হেনা। বর্তমানে তার বয়স ৮৭।