খেলাধুলার মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকলে ভালো করা যায় না: সালমা ইসলাম এমপি
হবিগঞ্জ ও মাধবপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম
সাবেক প্রতিমন্ত্রী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেছেন, খেলাধুলার মধ্যে প্রতিযোগিতা না থাকলে ভালো করা যায় না। আজ যারা হেরেছে আগামীতে হয়তো তারা আবার জিতবে। সবাইকে শরীর ভালো রাখতে হবে। শরীর ভালো থাকলে খেলাও ভালো হবে। কাজকর্মও ভালোভাবে করা যায়। হবিগঞ্জের মাধবপুরে যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বীর মুক্তিযোদ্ধা যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি শনিবার বিকালে এসব কথা বলেন।
দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডের আয়োজনে এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় উদয়ন ইলেকট্রিক্যাল এবং উইভিং গ্লোরিয়াস অংশ নেয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় উইভিং গ্লোরিয়াস। টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন যমুনা গ্রুপের পরিচালক মেহনাজ ইসলাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সালমা ইসলাম এমপির পরিবারের সদস্য ও গ্রুপের কর্মকর্তারা।
সালমা ইসলাম এমপি বলেন, মনে রাখতে হবে-আমরা সবাই একই পরিবারের। এখানে হারজিতের কিছু নেই। খেলাধুলা শরীর ও মন ভালো রাখে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন। তিনি খেলোয়াড়দের বিদেশে পাঠাচ্ছেন। অনেক টাকা খরচ করছেন। এতে খেলাধুলায় দেশ অনেক এগিয়ে গেছে।
ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে যমুনা গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হন জেসেলিন হুরাইন হোসাইন। রানার আপ হন অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। এর আগে দুপুরে তিনি অতিথিদের নিয়ে গাছ রোপন এবং যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া রোজালিন ইসলাম প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে তাৎক্ষণিক বিজয়ীদের মধ্যে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, প্রতি বছরই এমন আয়োজন করা হবে। শীতেও ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ভবিষ্যতে নতুন নতুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। হুরাইন এইচটিএফ লিমিটেডকে আমরা বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। এজন্য সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই আমরা বিশ্বব্যাপী অনেক সুনাম অর্জন করেছি।
যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে নুরুল ইসলাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ১৮টি দলে কয়েকশ’ শ্রমিক ও কর্মকর্তা অংশ নেন। ফাইনাল খেলায় কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মকর্তা দর্শক ছিলেন।