নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে মানুষের শোচনীয় অবস্থায় একটু স্বস্তি ফেরাতে রংপুরে গরিবের সুপারশপ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। শনিবার সকালে ফিতা কেটে সুপারশপে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মান্নান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার ফারুখ আহমেদসহ অন্যরা।
এতে এক কেজি চাল, একটি লাউ, এক কেজি আলু, একটি মিষ্টি কুমড়া, চারটি বিস্কুটের প্যাকেট, এক কেজি লবণ, টিশার্ট, খাতা- প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে এক টাকা। এক জোড়া স্যান্ডেল, এক কেজি মসুরের ডাল- প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে দুই টাকা। এক কেজি চিনি ও আটার প্যাকেট- প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে তিন টাকা। একটি লুঙ্গি, একটি স্কুলের ব্যাগ, এক লিটার তেল- প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে চার টাকা। একটি ব্রয়লার মুরগি, একটি মাছ- প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা। ১৮টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে সাজানো সুপারশপে নির্বাচিত আড়াইশ জন অস্বচ্ছল মানুষ প্রত্যেকে ১০ দশ টাকা সমমূল্যের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পেরেছেন। এতে ব্যাগভর্তি বাজার পেয়ে খুশি গরিবরা।
ফারুখ আহমেদ বলেন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ২০১৩ সাল থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষদের নিয়ে কাজ করছে। করোনার পর থেকে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের হতদরিদ্র ও বয়স্ক মানুষের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। সুপারশপে একজন হতদরিদ্র মানুষ ১০ টাকার টোকেন মানি দিয়ে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার ব্যাগভর্তি বাজার করেছেন। যা তাদের খাদ্যসহ আমিষের চাহিদা মেটাবে।