Logo
Logo
×

সারাদেশ

৯ দফা দাবিতে পাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ভবনে তালা

Icon

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১০:৫০ পিএম

৯ দফা দাবিতে পাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ভবনে তালা

আপগ্রেডেশনসহ নয় দফা দাবিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের একাংশ সোমবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। 

একপর্যায়ে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেন। 

এ সময় উপাচার্যের অনুগত কয়েকজন কর্মকতা-কর্মচারীর সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে পাবিপ্রবি প্রশাসন দাবি করে, আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা বাধাগ্রস্ত করতে তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধনে কর্মসূচি দেন কর্মকর্তারা।

পাবিপ্রবি সূত্র জানায়, সোমবার প্রক্টরসহ কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার আপগ্রেডেশনের জন্য আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা ছিল।  সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টরা সভায় যোগ দিতে উপাচার্যের প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে কর্মকর্তাদের একাংশ বাধা দেন। এর আগে তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ সময় তালা ভেঙে উপাচার্য প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করতে গেলে কর্মকর্তারা বাধা দেন। এ সময় উপাচার্যের অনুগত কয়েকজন কর্মকতা-কর্মচারীর সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে উপাচার্য তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে বাধা উপেক্ষা করে উপাচার্য কার্যালয়ে আপগ্রেডেশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হলে বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা নয় দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর ২টার দিকে তারা কর্মসূচি তুলে নেন। 

কর্মকর্তারা জানান, তাদের নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের মেয়াদপূর্ণ হওয়ায় কর্মকর্তাদের আপগ্রেডেশন দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। অ্যাডহক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মকর্তাদের স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে। কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করতে হবে। কর্মকর্তাদের শিক্ষাছুটি, লিয়েন ছুটিসহ যাবতীয় প্রাপ্য ছুটি হয়রানি ছাড়া প্রদান করতে হবে। কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় কিন্তু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয় না, এমন দ্বৈতনীতি পরিহার করতে হবে। প্রয়াত ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল ইসলামের সহধর্মিণীর চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. হাফিজা খাতুনের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। 

প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেও একজন প্রার্থী ছিলাম। তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধনে কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বা কেন তারা অবস্থান নিয়েছিল সেটা যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম