নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার বিকাল ৫টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার। ওই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার। এতে নদী তীরবর্তী ছয় ইউনিয়নের ১৫টি চরের প্রায় ৮ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শুক্রবার তিস্তা নদীতে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। দুপুর ১২টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকাল ৩টায় ওই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার এবং ৫টায় ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
সূত্র আরও জানায়, ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় জেলার ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও গ্রামসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী ১৫টি গ্রামের ৮ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এছাড়া উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি, কিছামত ছাতনাই, ঝাড় সিঙ্গেশ্বর, চর খড়িবাড়ি, পূর্ব খড়িবাড়ি, তিস্তা বাজার, বাইশপুকুর, ছাতুনামা, কেল্লাপাড়া ও ভেন্ডাবাড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘আজ সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। পানি বাড়া অব্যাহত থাকায় বন্যাকবলিত মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন।’
ডালিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, ‘উজান থেকে আসা ঢলে তিস্তায় পানি বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে তিস্তা অববাহিকার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’