স্কুলছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একজনের ফাঁসির আদেশ
যুগান্তর প্রতিবেদন, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
মুন্সীগঞ্জে স্কুলছাত্রী লায়লা আক্তার লিমুকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফাইজুনন্নেছা এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত খোকন সিরাজদিখান উপজেলার পাউশার গ্রামের মো. বাবুলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী এলাকায় কেনাকাটার জন্য বের হয় কিশোরী লায়লা আক্তার লিমু। বিকালে বাড়ির পাশে থাকা বাজারে জামা বানানোর কাপড় কিনতে গেলে চাঁন সুপার মার্কেটে যুবক খোকন মিয়ার দর্জির দোকানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করা হয় লিমুকে। পরে লিমুকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে মার্কেটের পাশে ইছামতি নদীর তীরে ফেলে রাখেন খোকন। সেখান থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত খোকনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আব্দুল মতিন। মামলার তদন্তে লিমুকে ধর্ষণের পর ধামাচাপা দিতে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উঠে আসে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা জানান, পাঁচ বছর পর রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারায় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ২০১ ধারায় মরদেহ গুম করার সাত বছর পর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এদিকে রায়ে সন্তুষ্ট নিহতের পরিবার। নিহতের বড় ভাই মো. রিপন বলেন, আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা আসামির শাস্তির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আজ আদালত অভিযুক্ত খোকনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। আমরা চাই যেন দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন হয়।