Logo
Logo
×

সারাদেশ

জনতার রোষানলে পালিয়ে গেলেন আ.লীগ নেতার পিস্তলধারী পিএস

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম

জনতার রোষানলে পালিয়ে গেলেন আ.লীগ নেতার পিস্তলধারী পিএস

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার চেষ্টা করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়ে পালিয়ে গেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজা বারীর পিএস। এ ঘটনা ঘটে সোমবার রাতে। এ নিয়ে সোমবার রাতভর পুলিশ আওয়ামী লীগ ও সাধারণ জনসাধারণের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। তবে কোনো থানায় সাধারণ ডায়েরিও হয়নি।

সোমবার রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজা বারী গাড়িরবহর নিয়ে নির্বাচনি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন শ্রীপুরে। সেখান থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে সাদুল্লাপুরের নলডাংগায় রেলগেট তিন মাথা নামক স্থানে গাড়িবহর পৌঁছলে হঠাৎ করে পেছন থেকে আফরোজা বারীর পিএস নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে থাকা ৩ ব্যক্তির উদ্দেশে গালাগাল করতে থাকেন। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। গাড়িবহর নিয়ে আফরোজা বারী তার বাড়িতে চলে যান। বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়।

কিন্তু রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও তার দলবল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার পিএস সাদিকুর রহমান আবার ঘটনাস্থলে আসেন এবং উপস্থিত লোকজনকে গালাগাল করতে থাকেন। আবারও দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের নৌকা মার্কা প্রতীকের সম্ভাব্য প্রার্থী আফরোজা বারীর পিএস সাদিকুর রহমান জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে পিস্তলসহ পালিয়ে রক্ষা পান কিন্তু তার সঙ্গে থাকা একজন ধরা পড়েন জনতার হাতে। তাকে গণধোলাইয়ের পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

অবস্থার বেগতিক দেখে আফরোজা বারী ও তার পিএস সাদুল্লাপুর থানা ও বামনডাংগা পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে আসতে বলেন। ততক্ষণে আফরোজা বারীর অস্ত্রধারী পিএসসহ তার মস্তান বাহিনী পালিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরে সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জে বামনডাংগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পারেন।

এ ব্যাপারে পিএস সাদিকুর রহমান বলেন, আসলে বিষয়টি তেমন কিছু নয়। আমরা গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় আফরোজা ম্যাডামের নাম উল্লেখ করে সাগর নামের এক যুবক গালি দেয়। গালি শুনে তিনি গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। আমি কোনো পিস্তল বা আগ্নেয়াস্ত্র বের করি নাই। আর আপনারা জানেন তো ম্যাডামের নামে লাইসেন্স করা পিস্তল আছে। সেটা তার কাছেই থাকে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজা বারী এ ব্যাপারে বলেন, আমরা যাওয়ার সময় আমার নাম ধরে নাকি কে গাল দিয়েছিল। তাই সে প্রতিবাদ করতে গিয়েছে। আর সে একটু উগ্রপন্থি তাই আমাকে গালি দেওয়া পছন্দ করেনি। সব তো মিটে গেছে। ওরা এসেছিল আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে।

বামনডাংগা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল আজিজ বলেন, আমরা অনেক রাতে গিয়ে দেখি সেখানে শুধু নলডাংগা এলাকার লোকজন আছে। তাদের কাছে ঘটনাটা শুনেছি।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। নলডাংগায় কি হয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম