যুবলীগ নেতার রগ কেটে হত্যা, সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনের নামে মামলা
আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩০ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যুবলীগ নেতা জনি মিয়াকে (৩৫) পায়ের রগ কেটে হত্যা করায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ছেলে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহতের পিতা মকসেন মিয়া উপজেলার তালশহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আবু সামা, তার ছেলে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. আমির হোসেনসহ ১৫ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
পিতা-পুত্র দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা ও দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সোমবার রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারের অদূরে ওই গ্রামের মকসেন মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া নামে (৪৭) দুজনকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে। আর আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যান।
এ বিষয়ে তালশহর গ্রামে গিয়ে নিহত জনির স্ত্রী আসমা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার স্বামী জনি মিয়া নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সোলায়মান মিয়ার নির্বাচন করায় আবু সামা এবং তার ছেলেরা আমার স্বামী জনির প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন। সোমবার তারা আমার স্বামীর পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছেন। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মামলার বাদী জনির বাবা মকসেন মিয়া বলেন, আমার ছেলে জনির ছোট-ছোট তিনটি বাচ্চা রয়েছে। তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব কে নেবে? আমি অচল মানুষ। এই ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কি করব বুঝে উঠতে পারছি না। মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
আশুগঞ্জ থানার ওসি নাহিদ আহমেদ জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার এসআই মোতাহার হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।