‘বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা সঠিক ছিল বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর লালিত চিন্তা-চেতনা সঠিক ছিল বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যাকাণ্ডের পর থেকে দেশকে দুর্নীতি, হত্যা, ক্যু, রাজনৈতিক হানাহানি, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, খাদ্য ঘাটতি, জঙ্গি শিক্ষা সংকোচনের দেশে পরিণত করেছে।
১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সকাল ১০টায় আন্দরকিল্লার সংগঠন কার্যালয় চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আমিন বলেন, এই অশুভ পরিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অনেকাংশে সফল হয়েছেন। তার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেই পরিবর্তিত বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ চিত্র পরিস্ফুটিত হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে লালন করে, উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ঐক্যবদ্ধ করে আবার নৌকাকে জয়লাভ করাতে না পারলে আমাদের কষ্টার্জিত সফলতার স্বাদ হতে জাতি বঞ্চিত হবে। তাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির ঐক্য আর শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করা ব্যতীত আর পথ নেই।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।
মোতাহেরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সঠিক পথনির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল ইতিহাসের বিচারে তারা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালির নি:শ্বাসে বিশ্বাসে অন্তরে চিরজাগরুক থাকবে।
মফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো বিশাল মনের মানুষটিকে চিনতে ঘাতকরা ভুল করেছিল। আর সেই ঘাতকদের ভুলের শাস্তি জাতিকে ভোগ করতে হয়েছে দীর্ঘকাল। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু আজ এক ও অভিন্ন ধারায় মিশে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার পুরোপরি সমাপ্ত ও কার্যকর করা এখন সময়ের দাবি। এ দাবি বাস্তবায়ন হলে বাঙালি জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে।
সভায় বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা চেমন আরা তৈয়ব, প্রদীপ দাশ, অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিন, মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, অ্যাডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক, অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার, খোরশেদ আলম, ডা. তিমির বরণ চৌধুরী প্রমুখ।