তিস্তার পানি বিপৎসীমার উপরে, খুলে রাখা হলো ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪ গেট
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম
নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ১৫টি চরের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সূত্রমতে, সোমবার সকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
সূত্রটি জানায়, রোববার বিকাল থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। সন্ধ্যা ৬টায় পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
এদিকে মধ্যরাতে নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি ও খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি চরের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের মধ্যে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ডিমলা উপজেলার খালিশাচাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুজ্জামান সরকার বলেন, পানি বাড়ায় ইউনিয়নের ছোটখাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সর্বশেষ মোবাইল ফোনে চর খড়িবাড়ির বাসিন্দা রিপন ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বর্তমানে চরে নদীর পানি আর সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা জানান, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৬টায় ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে তিস্তার অববাহিকায় চরগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, আমরা পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা নিরূপণের কাজ চলছে। তালিকাটি হাতে পেলে জানা যাবে কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। আর এসব মানুষের পাশে দাঁড়াতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।